হে, জাতির জনক.. ওরা ভেবেছিল তোমাকে হত্যা করলেই বুঝি হয়ে যাবে সব শেষ.. ওরা বোঝেনি মুজিব মানেই স্বাধীন বাংলাদেশ..!! ১৫ আগস্ট সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী ৭ মার্চের মহাকবি, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থাপতি : বঙ্গবন্ধু’র শাহাদাত বার্ষিকী বিনম্র শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শহীদ বঙ্গবন্ধু এবং তাহার পরিবারের সদস্য-সদস্যা শিশু রাসেল এবং সুকান্ত সহ তাদের আত্মার শান্তি কামনা করছি।। স্মরণীয় সেই দিন : ১৫ই আগস্ট,টুঙ্গিপাড়া, ১৯৭৫ ইং।
একটা হেলিকপ্টার নামল। একজন আর্মির মেজর আর কয়েকজন সিপাহী। আরেকটা কফিন। কফিন খুলে আঁতকে উঠেন ইদ্রিস আলী।এতো বঙ্গবন্ধু.. এতো ৭ মার্চের বজ্র কন্ঠ,(এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম)মহান স্বাধীনতার ঘোষক শেখ মুজিব.. পরনে সেই চিরাচরিত সাদা পাঞ্জাবী। সারা গায়ে পঁয়ত্রিশটা বুলেটের দাগ। সেই বিখ্যাত তর্জনী গুলি করে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। উপস্থিত সৈন্যদের উপর কড়া অর্ডার মুজিবের লাশ যাওয়া মাত্র দাফন করতে হবে। তাই সৈন্যরা গোসল না করিয়ে শেখ বাড়ীর মসজিদের হুজুরকে ডেকে কোন মতে জানাজা সেরে লাশ দাফন করে ফেলতে চান।
কিন্তু বৃদ্ধ হুজুর গোসল ছাড়া জানাজা পড়াতে অস্বীকৃতি জানালেন।কারণ শেখ মুজিব ছিলেন তার ছাত্র। বাড়ির পাশের মজা পুকুর থেকে আনা হল পানি, দোকান থেকে আনা হয় কাপড় কাঁচার ৫৭০ সাবান…!! স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি— যে নেতার জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হত না, যিনি সংগ্রামী জীবনের ১৩ টা বছর জেলখানার সেলে কাটিয়েছেন জাতির অধিকার আদায় করতে সেই জাতির পিতাকে গোসল করানো হয় পুকুরের নোংরা পানি আর কাপড় কাচার সাবান দিয়ে। ভালো মার্কিন কাপড় না থাকায় শেখ মুজিবেরই দান করা রিলিফের কাপড় থেকে এক খন্ড কাফনের কাপড় জুটল শেখ মুজিবের কপালে।সাড়ে ৭ কোটি মানুষকে মাথা তুলে বাঁচতে শিখিয়েছেন যিনি, নেলসন ম্যান্ডোলা, ইয়াসির আরাফাত, কমরেড ফিদেল ক্যাস্ট্রোরা যাকে নিজেদের অনুপ্রেরনার আদর্শ মানত সেই মানুষটার জানাজা পড়ল মাত্র ২০-২৫ জন। এলোনা কোন বিশ্বনেতা. পরের দিন লন্ডনের বিখ্যাত দা ডেইলি টেলিগ্রাম পত্রিকায় একটি বিশ্রি সত্য শিরোনামে এলো এই করুন মৃত্যুই যদি মুজিবের ভাগ্যে ছিল তাহলে বাংলাদেশ সৃষ্টির কোনো প্রয়োজন ছিল কি ? ফিরে দেখি-৭২ বাংলার মেয়েরা , হানাদার বাহিনীর হাতে নির্যাতন ধর্ষণের পর ঘরে ফিরে পেল মানসিক নির্যাতন।
বাপ মেয়েকে ঘরে নিতে অস্বীকার করল, স্বামী বউকে তালাক দিল। সমাজ তাদের বয়কট করল। অপমানে লজ্জায় গাছের ডালে ফাস দিয়ে আত্নহত্যা করল বাংলার বীরাঙ্গনার দল। কার জন্য ইজ্জত গেল ?নির্যাতন সহ্য করলাম ? সে খবর গেল ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবের কানে। বুক চাপড়ে কেদে কেদে বললেন “কেউ যদি বীরাঙ্গনাদের পিতার নাম জিজ্ঞেস করে তবে বলে দিও তাদের পিতা “শেখ মুজিবর রহমান” আর তাদের ঠিকানা স্থানে লিখে দিও ধানমন্ডি ৩২ নম্বর।”..দেশ গড়ার শপথ নেও প্রজন্ম :- সেই কালো ফ্রেমের চশমা পরা হিমালয় কে চিনে নিও প্রজন্ম।
তোমাকে করতে হবে তার আদর্শ বুকে লালন , তোমার মনে থাকবেনা কোন আত্মঅহংকার, তুমি হবেনা কখনো মেহনিতী মানুষের শত্রু, তুমি হবে শোষণ ও দুর্নীতি মুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশ ! বিশ্বকবি রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, কমরেড অমল সেন, ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সপ্নের অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলাদেশ গড়তে থেকো সর্বদা প্রস্তুত!! জাতির জনক : শেখ মুজিবুর রহমান কারো পৌত্রিক সম্পত্তি নয়, তিনি দুর্নীতি ও চোর মুক্ত সোনার বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্ঠা, তিনি বাংলার মহানায়ক,তিনি সর্ব কালের সর্ব শ্রেষ্ট বাঙ্গালী,তিনি সারা বিশ্বের বিস্ময়,তিনি বাংলা ও বাঙালির অহংকার,তিনি খেটে খাওয়া মেহনিতী মানুষের বিশ্বাস ও নিঃশাস !!
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।